Posts

Showing posts from January, 2020
Image
বইয়ের নামঃ দ্যা এ্যালকেমিস্ট লেখকঃ পাওলো কোয়েলহো অনুবাদঃ মাকসুদুজ্জামান খান বিশ্বসাহিত্যে কয়েক দশক পর পর এমন একটা বই বের হয় যা পাঠকের জীবনকে আমূলে বদলে দেয়। পাওলো কোয়েলহো’র লেখা দ্যা এ্যালকেমিস্ট এমনই একখানি বই। পৃথিবীব্যাপী ২৫ মিলিয়নেরও বেশি বিক্রি হয়েছে এ বই, অনূদিত হয়েছে ৫৪ টি ভাষায়। দ্যা এ্যালকেমিস্ট পাঠকের কাছ থেকে পেয়েছে আধুনিক ক্লাসিকের মর্যাদা। সান্তিয়াগো নামের এক কিশোর রাখালকে নিয়ে এ কাহিনীর অভূতপূর্ব বুনন। মরুপ্রান্তরের ছেলে সান্তিয়াগোর ভ্রমণের নেশা। দেশ-দেশান্তরে সে ঘুরে বেড়ায় নতুনত্বের খোঁজে, নতুন মানুষের খোঁজে, নতুন বইয়ের খোঁজে। পরিবর্তনে মানুষের খুব ভয়, সান্তিয়াগো ভয় পায় না। দুঃসাহসে ভর করে পাড়ি দেয় মরুভূমি, পথে নানা শঙ্কা তবু রক্তে অভিযানের কি অদম্য নেশা! হঠাত সান্তিয়াগো স্বপ্ন দেখে, অদ্ভুত সব স্বপ্ন! সে স্বপ্নের অর্থ ধরে গুপ্তধনের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে সে। আবারো নতুন মানুষ, নতুন পরিস্থিতি কিন্তু বুকে স্বপ্ন একটাই, পিরামিড। সান্তিয়াগো প্রতারিত হয় কিন্তু ভেঙে পড়ে না। মরুভূমি তাকে সান্ত্বনা দেয়, দেয় পথ চলার নতুন উদ্যম। রাখাল এই ছেলে জানতে পারে মানুষ বাঁচে প
Image
                                আমার নানাভাই                                                 আসিফ মাহমুদ জীবন গতকাল আমার নানার তেরোতম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। আমার নানা যখন মারা গেলেন তখন আমার বয়স সাড়ে চার ছুই ছুই। বিকেলবেলা তাকে মাইক্রোতে উঠিয়ে মিলিটারি হাসপাতালে নেয়া হলো, তিনি রাতে বাড়ি ফিরলেন লাশ হয়ে। সেই রাতে আমায় কেউ ডাকেনি, আমি নিজেই উঠেছিলাম। মধ্যরাতে চার বছর বয়সি কোনো শিশু যদি ঘুম থেকে উঠে দেখে যে বারান্দার মেঝেতে তারই সর্বক্ষণের বন্ধু নিথর হয়ে শুয়ে আছে আর তাকে ঘিরে পরিচিতরাই গগনবিদারী চীৎকার দিয়ে রাতের আকাশ বাতাস ভারি করে ফেলছে, সেটা আর যাই হোক সুখকর দৃশ্য নয়। আমি অবাক হতে পারিনি, শিশুরা সহজে অবাক হয় না। খুব চুপচাপ হয়ে আমি বারান্দায় ঠেস দিয়ে বসে নানার দিকে তাকিয়েছিলাম, নানার মুখে তখনও সেই শান্ত সৌম্য হাসি। মৃত্যুও সে হাসির সৌন্দর্য ম্লান করতে পারেনি। প্রচণ্ড বিলাপের মাঝে সেই হাসি দেখে আমি কখন সেই রাতে ফের ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তা আমার নিজেরও মনে নেই। নানাকে গ্রামের মানুষ জানতেন মিলিটারি নামে। মুক্তিযুদ্ধের পর তার সেনাবাহিনীতে যোগদানের কারণেই সম্ভবত এমন নামকরণ। কৃষিকাজ থেকে শুরু
Image
                              কবিতাঃ আমি সেদিনই বখে গিয়েছিলুম                                                                  আসিফ মাহমুদ জীবন মতির দোকানে সেদিন হিঙরে কচুরি চলছে, ডুবো তেলে ভাজা, দেখলেই জিভে জল আসে বিশ্বাসের ছেলে আধ-খাওয়া কচুরি এক শীর্ণ বোষ্টমির মুখে ছুড়ে বলেছিল,‘লে কুত্তা, খা!’ আমি তখনই লিকলিকে দেহ নিয়ে বিশ্বাসের সেই ষণ্ডা ছেলেকে দুপ্রস্থ ঠেঙিয়েছিলাম, আমি জানি, আমি সেদিনই বখে গিয়েছিলাম। সাইজির গান হয় প্রতি রাতে, আড়ঙের ঘরে প্রাণ জ্বলে একতারায়; ধোয়া ওড়ে না, বোতল গড়াগড়ি যায় না, মাদক ঐ একখানাই, একতারার গান! বাবা বললে,‘ওসব ফকিরে কাজ, ছোটলোকের জাত বিকানো’ সে রাত্তিরে আমার ঘর ফাঁকা রইল, আমি তখন সাইজির গানে ঢুলছি; আমি বেশ জানতুম, আমি সেদিনই বখে গিয়েছিলুম। গল্প পড়ায় সেবার খুব নেশা ধরে গেল, রবীন্দ্র আর বঙ্কিম মিলে রক্তে সৃজনের নাচন জাগাল; পাশের বাড়ির কাকা এসে বাবায় সুবুদ্ধি দিলে, ‘ ছেলের মতিগতি তো সুবিধার নয়, ঘাড় গুঁজে ওসব কি পড়ে! জব্দ করো ক্ষণিকে! কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস।’ বাবা সব বুঝলে, আমার বই বন্দী হলো রঙ্গিন কাঠের ফ্রেমে; যেদিন সাহিত্যের