চরকি

লেখকঃ আসিফ মাহমুদ জীবন
বালিয়ার বিস্তীর্ণ মাঠে সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে শ্রাবণ মেঘের ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। আকাশে ঘন,কালো মেঘ জমেছে, যখন তখন ঝুপ করে বৃষ্টি নেমে পড়বে। এই দুপুর বেলাতেও পুরো মাঠে গুমোট অন্ধকার দানা বেঁধেছে। তীব্র বাতাসের বিপরীতে চরকি হাতে নিয়ে সেখানে রুদ্ধশ্বাসে দৌড়াচ্ছে দুই শিশু, বাতাসে তাদের একজনের অবাধ্য চুলগুলো বাড়াবাড়ি রকমের স্বাধীনতা পেয়েছে যেন। কান পাতলে মেঘের বজ্র নিনাদ আর সোঁদা মাটির তীব্র গন্ধের মধ্যেও তাদের প্রাণখোলা হাসির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। চরকিটাকে আরেকবার ঘুরিয়ে দেখে রুনু, গতবার বাবার আনা জিনিসগুলোর মধ্যে এই খেলনাটাই তার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছিলো, চার রঙের চরকি, পাখাগুলো দেখতে অবিকল গাছের পাতার মতো। প্রত্যেকবার রুনুদের গ্রামে বোশেখি মেলা হয়, রুনুর মা কখনও তাকে যেতে দেয় না। গতবার রুনু প্রথম গিয়েছিলো, বাবা ছিল যে!

সে রাত্তিরের কথা রুনুর দিব্যি স্পষ্ট মনে আছে। খুব রাতে ইয়া বড় ব্যাগ নিয়ে বাবা হাজির। রুনু তখন আধঘুমে, কিন্তু বাবার গলার আওয়াজ রুনু চিনবে না! এক দৌড়ে গিয়ে বাবার কোলে গিয়ে বসেছিল সে, বাবা তখন আদর করে রুনুর হাতে চরকিটা ধরিয়ে দিয়েছিলেন, কি প্রচন্ড খুশি হয়েছিলো রুনু সে রাতে! কতদিন পর বাবা এসেছিল! দু দিন হতে না হতেই ফের চলে গেলো। বাবার যাওয়ার আগে রুনু খুব কেঁদেছিল, কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছিল, তাই দেখে রুনুর বাবার সে কি হাসি! কিন্তু রুনু জানে, বড়রা কখনও ছোটদের মতো কাঁদে না, তারা হাসার মতো করে কাঁদে।
চরকিটার দিকে আরাফাত তখন থেকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, তখন তো একবার ছুঁতেই গিয়েছিলো, ভাগ্যিস রুনু ছুঁতে দেয়নি!“ বেদ্দপ ছোড়া!” চাপাস্বরে কথাগুলো বলে ফের হাঁটা দেয় রুনু। আরাফাত এবারো ফের রুনুর পিছু নেয়। এবার আর রুনু দৌড়ায় না, চোখ বড় বড় করে আরাফাতের দিকে তাকিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। রহমতের মাকে রুনু এমন ভাবে ভয় দেখাতে দেখেছে, গ্রামের ছেলেপিলে রহমতের বাড়ির বাটামগাছের মৌচাকে ঢিল মারতে গেলেই রহমতের মা এরকম চোখ বড় বড় করে ভয় দেখাতে তেড়ে আসে। ভয় দেখিয়ে কাজ হল কিনা বোঝা গেলো না কিন্তু আরাফাতের চোখ সেই চরকির দিকেই রইল। রুনু এতক্ষণে খেয়াল করলো, আরাফাত প্যান্টই পরেনি। রুনুকে চরকি হাতে দৌড়াতে দেখে ঝোঁকে ঝোঁকে চলে এসেছে। অবশ্য চার-পাঁচ বছরের একটা ছেলের প্যান্ট না পরা গুরুতর কোন অপরাধ না, তবুও রুনু হেসে ফেলল। আরাফাতের নাক দিয়ে অবিরাম সর্দি গড়াচ্ছে, সে সর্দি নাকের প্রান্তসীমা পার করে কখন যে নিচে নেমে গেছে তা সে খেয়াল করেনি, অবশ্য, কখনই করেনা।

বড় সড়কটার কাছে ধারে এসে দাঁড়ালো আঞ্জুমারা, রুনু তার হাত ছেড়ে দিয়ে ছোটাছুটি করছে। ধমক দিতে গিয়েও থেমে গেল সে, আজকের দিনে মেয়েটাকে ধমকানো ঠিক হবেনা। বড় রাস্তাটা অন্যদিনের চেয়ে আজ অনেক বেশি ব্যস্ত। কদিন পরই কুরবানির ঈদ, লোকজনের আনাগোনা খুব বেশি। সদরুল চেয়ারম্যানকে বড় রাস্তা ধরে মোটামুটি বেশ বড় একটা জটলা নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখা গেলো। জটলার মাঝে রয়েছে দশাসই আকারের এক গরু। রুনু অবাক হয়ে গরুটার দিকে তাকিয়ে রইল, এত্ত বড় গরু! বাজারের সারি সারি দোকান পেরিয়ে শেষ মাথায় মন্টু চাচার দোকান। মায়ের হাত ধরে বাজারে ঢুকতেই রুনুর চঞ্চলতা ম্রিয়মাণ হয়ে গেল, এদিকে তার আসা হয়না খুব একটা। লজেঞ্ছের দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রুনু বারাবার আঞ্জুমারাকে ইশারা করলেও খুব একটা পাত্তা দিলো না সে। মন্টু চাচার দোকানটা ছোট, চায়ের দোকান, কিন্তু ফোন করা যায়। দোকানে একদমই ভিড় নেই দেখে আশ্বস্ত হল আঞ্জুমারা, ভেবে ভেবে ঠিক সময়েই এসেছে সে।
আঞ্জুমারাকে দেখেই কথা না বাড়িয়ে ফোনটা হাতে ধরিয়ে দিলেন মন্টু চাচা, ভালোভাবে সেটা নেয়ার চেষ্টা করলেও আঞ্জুমারা বুঝতে পারলো, তার হাত কাঁপছে। রুনুও হটাৎ ছোটাছুটি বাদ দিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। মন্টু চাচা রুনুর হাতে লজেঞ্ছ দিয়ে তাকে দোকানের বাইরে নিয়ে আসলেন। রুনু বোঝে না, প্রত্যেকবার এই সময়ে কেন মন্টু চাচা তাকে বাইরে বের করে আনে!

আনিস মেসের বিছানায় শুয়ে আছে। সকাল গড়িয়ে দুপুরে এসে ঠেকেছে, তার এখনো বাথরুমে ঢোকা হয়নি। রহমত সাহেবের গতরাতে নাকি কোথায় দাওয়াত ছিলো, সারা সকাল ধরে উনি বাথরুম দখল করে আছেন। মাঝে মাঝে বাথরুমের দরজা সামান্য ফাঁক করে বাইরে আসার প্রস্তুতি নিতেই ফের পেট চেপে ধরে দৌড়ে দরজা বন্ধ করছেন। এদিকে আশফাক ছেলেটা চাকুরীজীবী, তার সকাল সকাল অফিস আছে। শেষ পর্যন্ত সে গোমড়া মুখে বাড়িয়ালার ফ্লাটে প্রকৃতিকর্ম সারতে গেছে। আনিস হেসে ফেলল, আশফাক ছেলেটা যতই গোমড়া ভাব করে থাকুক না কেন, এতে যে সে খুশি হয়েছে তা তার চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো। বাড়িয়ালার মেয়ের সাথে অনেকবার তাকে বাইরে হাঁটতে দেখেছে আনিস। বাথরুম থেকে আবার রহমত সাহেবের গোঙানির আওয়াজ পাওয়া গেলো। আনিস রহমত সাহেবের ব্যাপারে চিন্তিত নয়, তার মাথায় এখন ঘুরছে টাকার ব্যাপারটা। আগামি পরশু ঈদ,হাত একদম খালি। গতমাসের মেস ভাড়া বাকি পড়ে গেছে, মাঝে মেসে একটা ফেস্ট করা হয়েছিলো, সে ফেস্টে আনিস সাহেবের ভাগটা রহমত সাহেব দিয়েছেন। টাকাটা পরিশোধ করার দরকার। আবার গ্রামে টাকা পাঠাতে হবে। গ্রামের কথা মনে পড়তেই মেয়ের কথা মনে পড়ে গেল আনিসের। গত ৬ মাস সে গ্রামে যেতে পারেনি, অথচ মেয়েকে কথা দিয়ে এসেছিলো যে পরের সপ্তাহেই আসবে। গতবারের মতো এবারের ঈদেও যদি বাড়ি যেতে না পারে! পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললো আনিস, চেষ্টা করেও সে দীর্ঘশ্বাসটাকে আড়াল করতে পারছে না। ঠিক সে সময় ঘরের দরজায় রহমত সাহেবের মাথা উঁকি দিতে দেখা গেলো। বাম হাতে কোনোমতে লুঙ্গিটা ধরে রেখে ডান হাতে ফোনটা এগিয়ে দিলেন তিনি।
“ ভাবি ফোন দিয়েছে ভাই” ফোনটা আনিসের হাতে ধরিয়ে দিয়েই দুহাতে লুঙ্গি ধরে দৌড় দিলেন রহমত সাহেব, ধপ করে বাথরুমের দরজা বন্ধের আওয়াজ আসলো।
আনিস ফোনটা কানে চেপে ধরে আছে, আঞ্জুমারার সাথে অনেকদিন তার কথা হয়না।
“ আপনে ভালা আছেন?” আঞ্জুমারার এই কথাতেই আনিস তার গলার উৎকণ্ঠটা ঠিক ধরতে পারলো। আনিসের উত্তর দেয়ার আগেই আঞ্জুমারার সুপ্ত অভিমানের বাঁধ গুড়িয়ে গেল।
“ আপনে এইবারের কুরবানিতে আইবেন না? বোশেখ মাসে অ্যাইসা কইয়া গেলেন কুরবানির এক হপ্তা আগে আইবেন। কাল পরশু কুরবানি, শহরে বেবাক লোক থাহে, সব্বাই ফিরছে, আপনি এহনো আহেন নাই কেন? মায়াডা খালি আপনার কতা জিগ্যায়। কবে আইবেন?”
আনিস চুপ করে আছে, সত্যিটা সে বলতে চাচ্ছে না। অফিসে কি একটা ঝামেলা হয়েছিলো, কোনো কেরানি বেতন পায়নি। তখনি অপর প্রান্তে রুনুর গলার আওয়াজ পাওয়া গেল।
“ আব্বা, তুমি আইবা কবে? কুরবানি করবা না আমাগোর লগে?” রুনুর কথা শুনে আনিসের হটাত প্রচন্ড কান্না পেতে লাগলো, মেয়েটার জন্য কিছুই কিনতে পারেনি সে। অতিকষ্টে গলা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে গলা খাঁকারি দিল আনিস।
“ আব্বা,আমার লাইগ্যা একখান লাল ফ্রক আনবা? যুঁই এর আব্বা মুন্সির হাট থ্যাইকা আইনা দিছে। তুমাদের ওইহানে মুন্সির হাট নাই?” আনিস চুপ করে যায় । বাস্তবতা কোনো শিশুকে বোঝানো সম্ভব নয়। সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, যে করেই হোক, সে একটা ফ্রক কিনবে, লাল ফ্রক।

রহমত সাহেব খালি গায়ে দুপুরের রোদে বসে আছেন। ডান হাতে বোতল থেকে বাম তালুতে গরম পানি ঢেলে তিনি পেটে মাখাচ্ছেন। আনিস কাছে যেতেই রহমত সাহেব ঘাড় ঘুরিয়ে হাসলেন।
“ বুঝলেন ভাই, পানির উপরে ওষুধ নাই। পানি মাখাইলেই সব অসুখ আস্তাকফিরুল্লাহ বলে পালাবে।”
আনিস হাসি চেপে বলল,“ এটাও কি ভাবির কথা রহমত ভাই?”
আনিসের কথা শুনে রহমত সাহেব সামান্য লজ্জা পেলেন, আবার খুশিও যে হলেন তা তার চোখ দেখে বোঝা গেলো। তিনি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললেন। আনিস খেয়াল করেছে, রহমত সাহেবের প্রত্যেকটা উদ্ভট কাজের পথনির্দেশক তার স্ত্রী। রহমত সাহেব সম্পর্কে আনিস যে খুব বেশি কিছু জানে তা না, শুধু এটুকু জানে যে লোকটার বাড়ি তার পাশের জেলায়। এমনিতেও লোকটা সবসময় হাসিখুশিই থাকে, তবে থেকে থেকে চুপ মেরে যায়।
পিছনের দরজা দিয়ে মেসের বাইরে বের হয়ে আসলো আনিস, আরেকটু হলেই বাড়িয়ালা মফিজের হাতে ধরা খেত। কাওসারদের বাড়ি কয়েক ব্লক দূরে, সেখান থেকে যদি কিছু ধার পাওয়া যায়। কাওসারদের বাড়ির সামনে এসে ভুল ভাঙল আনিসের, মেইন গেটে তালা ঝুলছে। ঈদের এতো কাছাকাছি সময়ে কেউ সাধারণত থাকে না।

আনিস ফিরলো রাত ১২টায়। ধার করে যে কটা টাকা হয়েছিলো তা দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়েছিলো, টিকিট পায়নি। রহমত সাহেব জেগেই ছিলেন, দরজা খোলার শব্দে উঠে বসলেন।
“ আজ এত দেরি হল যে ভাই!” আনিস উত্তর দিল না, তার কেমন একটা জ্বর জ্বর লাগছে, এখন গোসল করতে পারলে বেশ হতো। সোজা গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল সে। রহমত সাহেব বেশিক্ষণ চুপ করে থাকতে পারলেন না।
“ ভাই, আপনার ট্রেন কয়টায়?” আনিস ভেবে পেলো না কি উত্তর দেবে, চুপ করে রইল। রহমত সাহেব হাল ছড়লেন না।
“ আপনার মেয়েটার নাম জানি কি? কত বড় হল এবার?”
“ রুনু” সংক্ষেপে উত্তর দিলো আনিস। রুনুর কথা মনে পড়তেই ফের খারাপ লাগতে শুরু করলো আনিসের। মেয়েটাকে সে কথা দিয়েছে একটা লাল ফ্রক আনার, মেয়েটা কত আশায় থাকবে! না জানি এর মধ্যে কতজনের সাথে গল্প করে ফেলেছে, তার বাবা তার জন্য ফ্রক আনছে, লাল টুকটুকে ফ্রক!
আনিস পাশ ফিরে শুয়ে রইল, রহমত সাহেব আর প্রশ্ন করলেন না। শেষরাতে হটাত আনিসের ঘুম ভেঙ্গে গেল, রহমত সাহেব তার দিকে ঝুঁকে বসে আছেন। ভদ্রলোককে অসুস্থ দেখাচ্ছে। আনিস হড়মড়িয়ে উঠে বসলো, রহমত সাহেব তার দিকে তাকিয়ে দুর্বলভাবে হাসলেন। হাতের মুঠোর থেকে কটা জিনিস বের করে আনিসের হাতে দিলেন তিনি।
“ ভাই, আপনি যান। ভাবি-বাচ্চার সাথে ঈদ করে আসেন” রহমত সাহেবের অস্পষ্ট গলা খুব ভালোভাবে শুনতে না পেলেও বেশ বুঝতে পারল আনিস। হাতের মুঠোয় ট্রেনের টিকিট আর কটা টাকার নোটের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল সে।
“ আপনি যাবেন না ভাই? ভাবি তো গ্রামেই থাকে? ” অবাক স্বরে জিজ্ঞাসা করলো আনিস, রহমত সাহেবকে আগের থেকে আরো অসুস্থ দেখাচ্ছে।
“ সালমা মারা গেছে বছর চারেক হলো, আজ বেঁচে থাকলে...” রহমত সাহেব কথা শেষ করতে পারলেন না। আনিস অবাক বিস্ময়ে দেখল রহমত সাহেব কাঁদছেন, একেবারে শিশুর মতো ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন।

ভোরের আলো তখন কেবল ফুটছে, আনিস ‘তূর্ণা নিশীথে’ চড়ে বসেছে। তার হাতে লাল টুকটুকে একটা ফ্রক। প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে রহমত সাহেব আনিসের দিকে হাত নাড়ছেন, তার চোখে এখন আর অশ্রুর দাগ নেই। আনিসও জোরে জোরে হাত নাড়ল, দুজনের মুখেই তখন রাজ্য জয়ের হাসি।

মন্টু মিয়ার চায়ের দোকানটাতে বেশ ভিড়। সদরুল চেয়ারম্যানের ছেলে আব্বাস শহর থেকে ফিরেছে, তার চারদিকেই আগ্রহী হয়ে জটলা বেঁধেছে গ্রামের লোকজন। মন্টু মিয়া আব্বাসের দিকে তাকালো, ছেলেটা বাবার মতো জটিল বুদ্ধির হয়নি, নিপাট সাধাসিধা মানুষ। দোকানের কোণায় থাকা সাদাকালো টিভিতে একজনকে যান্ত্রিক গলায় বলতে শোনা গেলো-
‘ রাজশাহীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু, আহত অনেকে...’ চা দোকানের কোলাহলে বাকিটুকু আর শোনা গেলো না।

বালিয়ার মাঠটা অনেক বড়। মাঠের এ প্রান্তে দাঁড়িয়ে অপর প্রান্ত দেখা যায় না। সবুজ ঘাসের মধ্যে দিয়ে চাররঙা চরকি নিয়ে বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটছে এক শিশু। নগ্ন পায়ের তলায় ঘাসের ডগার সুড়সুড়িতে খিলখিল করে হেসে উঠছে সে। নির্মল আনন্দের অতিশায্যে সে জানতেও পারেনি,তার ভাগ্য চরকির একটা পাখা খসে গেছে কিছুক্ষণ আগেই।
                          

Comments

Popular posts from this blog