বিষয়ঃ নস্টালজিক স্কুলজীবন
লেখকঃ আসিফ মাহমুদ জীবন
কলেজে উঠার পর থেকে হাইস্কুলের দিকে খুব একটা পা বাড়ানো হয়না। মাঝেমধ্যে স্কুলে দু একবার ঢু মারা অতীব প্রয়োজন কারণ বাম হাত উপর্যুপরি চুলকালেও বৃত্তির শেষ কিস্তির টাকাটা এখনো পর্যন্ত হাতে এসে পৌঁছায়নি। অথচ টাকার বড়ই প্রয়োজন। নিখিলদার কাছে ধারে গল্পের বই নিয়েছিলাম, টাকাটা দেবো দেবো করেও দেয়া হচ্ছে না। এখন তো এমন অবস্থা হয়েছে যে কলেজে গেলেও আমাকে আধামাইল উল্টো রাস্তা মাড়িয়ে যেতে হয় যাতে নিখিলদার সামনে না পড়ি। চায়ের দোকানের খরচার খাতায়ও বেশ জমা হয়েছে। আজকাল চা খেতে গেলেই দোকানদার চাচাও পাশের সাইনবোর্ডের দিকে ইশারা করে। সেখানে লাল কালিতে বড় বড় করে লেখা, “আজ নগদ , কাল বাকি”। সাইন বোর্ডের নিচে কে যেনো অপটু হস্তে লাল মার্কার দিয়ে লিখেছে,” চা খাবেন? ঢেলে দেই?” আমি হাতের লাল মার্কারখানা দ্রুত পকেটস্থ করলাম। চা দোকানদার ফের ইশারা করছে,আমি সে ইশারা অগ্রাহ্য করে মোটামুটি বেশ বড় পেল্লাই সাইজের হাই তুলে চায়ের কাপ তুলে নিই, আমার হাতে পৌঁছে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এদিকে প্রেয়সীর পিছনে বেশ টাকা খরচ হচ্ছে, হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বাপের পকেট ফাঁকা করে এভাবে আর কদ্দিন চলবো? তাই বৃত্তির টাকাটা যে বড়ই প্রয়োজন, তা বলা নিতান্তই নিষ্প্রয়োজন।
শেষ পর্যন্ত এক বন্ধুকে বগলদাবা করে স্কুলের দিকে চললুম। আজ আমার একদিন কি স্কুলের একদিন! মাসের পর মাস চলে যায়, বৃত্তির টাকা দেয় না! এ কি ঘোরতর অন্যায়! রামরাজ্যে রাবণের শাসনে বুঝি আর দেরি নেই! স্কুলে ঢুকেই বেশ লম্বা করে একখানা চিৎকার দিলাম। মাস্টাররা বোধহয় সবে জলযোগে বসেছিলেন। হেডস্যার মুখে চায়ের কাপ তুলেছিলেন মাত্র, আমার বিকট চিৎকার শুনে ভিমড়ি খেয়ে জিভ পুড়িয়ে ফেললেন। আমার চিৎকার যতক্ষণে শেষ হলো ততক্ষণে আমাকে ঘিরে মোটামুটি বেশ ভিড় জমে গেছে। আমি কেঁদে কেটে আশেপাশের জনতাকে আমার আর্তি জানালাম। ভিড়ের মধ্যে কেউ কেউ জিভ দিয়ে চুকচুক করে আমাদের সমবেদনা জানালো। ঠিক সেই মুহূর্তে ভিড় ঠেলে দুটো হাত এসে আমাদের দুজনের কান সাড়াশির মতোন চেপে ধরল। ঘাড় না ঘুরিয়েই বুঝলাম, এ সাক্ষাৎ রফিক স্যার না হয়ে যায় না। পুরো স্কুলে এমন সাড়াশিমার্কা হাত ওই একজন স্যারেরই আছে। কানমলা দিয়েই তিনি ক্ষান্ত হন না। আমাকে একবার গার্লসস্কুলের মেয়েদেরকে ‘‘মরজিনা খালা’’ বলে ডাকার অপরাধে মাঠের মাঝখানে লাল গরুটার পাশে হাফপ্যান্ট পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। পৌষ মাসের সেই হাড়ভাঙা শীতে আমি টানা দুঘন্টা একপায়ে দাঁড়িয়ে গরুর জাবরকাটা দেখেছি।
কান ধরে আমাদের দুজনকে হেডস্যারের রুমে নিয়ে আসা হল। স্যার তখনও জিভ বের করে ফু দিচ্ছিলেন, আমাদের দেখেও তার ভাবান্তর হল না, তিনি জিভ বের করেই রইলেন। ঝ্যাটা মার্কা গোফের নিচে তার বের করা জিভ দেখে আমার কিঞ্চিৎ সন্দেহ হল যে তিনি আমাদের জিভ ভাঙ্গাচ্ছেন।লাল হয়ে যাওয়া কানে হাত বুলাচ্ছি ঠিক সে সময় একখানা গালের উপর মোক্ষম একটা রামচড় হানা দিলো। রফিক স্যারের রামচড় খেয়ে আমরা এবার আর ঠিক কলেজ ছাত্র থাকতে পারলাম না, হাউমাউ করে কেঁদে ফেললাম। স্যার মোটামুটি দাঁত খিচিয়ে আমাদের দিকে লেকচার আরাম্ভ করলেন,” লিডার হয়েছ না! লিডার! খুব বড় হয়ে গেছ?” আমি কান্না থামিয়ে আন্দাজ করলাম আমি এখনো স্যারের চেয়ে ইঞ্চিদুয়েক ছোট আছি। স্যার ফের এগিয়ে আসছেন দেখে আমি আবার কান্না জুড়ে দিলাম। রামচড় হল ভোমরার কামড়ের মতো। একবার খেয়েছ তো ভালো, দুবার খেলে আর রক্ষে নেই। আমাদের দুজনের মরাকান্না দেখে স্যারদের বোধকরি মায়া হল। হেডস্যার আহত স্বরে বললেন,” এ বয়সেও কেন যে তোরা এমন ছেলেমানুষী করিস!” কথাটা বলেই তিনি ফের জিভ বের করে ফ্যানের সামনে ধরলেন। আমাদের নাকের রাডার ততক্ষণে চালু হয়ে গেছে। হ্যাঁ! যা ধরেছিলুম তাই, স্কুলে টিফিন দেয়া হচ্ছে! আমার আর সহ্য হল না, পাশে বন্ধুর খোঁচা অগ্রাহ্য করে আমি হাত কচলাতে কচলাতে বলেই ফেললুম, “স্যার এতোদিন পরে এলুম, একটু আপ্যায়ন…হেহে…” সমীর স্যার আমাদের দিকে ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন। হাতের প্রকান্ড সাইজের সিঙ্গাড়াখানা পেটে চালান করতে করতে বললেন,” অ্যা! স্কুলের জামাই হয়েছিস নাকি তোরা যে তোদের আপ্যায়ন করতে হবে! চুপচাপ বসে থাক!” স্যারের অন্তরাত্মা কাঁপানো ধমক আমরা মুখ গোমড়া করে রইলাম। কিন্তু যখন দেখলাম বেশ বড় সাইজের ছখানা সিঙ্গাড়া আমাদের পেটে চালান হবার জন্য আকুপাকু করে এগিয়ে আসছে, আমাদের দুজনের মুখই ২৪০ ওয়াটের বাতির মতো জ্বলে উঠলো। আমরা দুজন সিঙ্গাড়ার উপর একপ্রকার ঝাপিয়েই পড়লাম। সিঙ্গাড়ার পাশে ছোট সাইজের একটা পেঁয়াজ। মানলাম পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তাই বলে এতো ছোট দিতে হবে! এ পেঁয়াজ তো আমার পাশের বাড়ির ছ’মাসের বাচ্চা পর্যন্ত অনায়াসে একগালে খেয়ে বলবে,” মাতৃদুগ্ধ ব্রতের যবনিকা টানলাম “ তবু,স্নেহের দানে আমি আর না করতে পারলাম না। চেটেপুটে খেয়ে যখন স্কুলের গেটের সামনে দাড়ালাম তখন আকাশ মেঘে ছেয়ে গেছে। আষাঢ়ের ডাকে সাড়া দিয়ে দু-এক ফোঁটা বৃষ্টি ধরিণীতলে আশ্রয় খুঁজতে ব্যস্ত। আমাদের পিছনে পিছনে রফিক স্যার আসছিলেন। স্কুল থেকে বের হওয়ার আগেই আমারমাথায় হাত দিয়ে সস্নেহে জিজ্ঞাসা করলেন,” খুব লেগেছে নাকি রে?” আমি প্রবল বেগে মাথা নাড়িয়ে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলাম যে আমার একদমই লাগেনি, আমি বেশ বড় হয়ে গেছি যে। আমার মাথা নাড়া দেখে স্যার মাথা হেলিয়ে সপ্রতিভভাবে হাসলেন। স্যারের হাসি দেখে আজ হটাত করে বুঝতে পারলাম, আমরা কেউই আসলে বড় হইনি, স্রেফ হওয়ার ভান করে থাকি। এ স্কুলের প্রতিটা কোণায় অক্লেশে সাক্ষ্য দেবে, আমরা সত্যিই আজো বড় হতে পারিনি। স্যার বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে মৃদু মৃদু হাসছেন, আমার কান্না পাচ্ছে। বাধভাঙ্গা উপচে পড়া কান্না। মুখ লুকিয়ে আমি ধীরে ধীরে বৃষ্টির জলে দাঁড়িয়ে গেলুম, কান্নার জল সবাইকে দেখানো যায়না। স্কুল কম্পাউন্ডটা বেশ লম্বা, সেই কম্পাউন্ড দিয়ে আমি ধীরলয়ে হাঁটছি। প্রবল বারিধারায় স্কুলটাকে আবছা আবছা দেখা যাচ্ছে। আষাঢ়ের প্রবল বর্ষণ ছাপিয়ে পেছনে রফিক স্যারের ভরাট গলার আবৃত্তি শোনা যাচ্ছে...
শেষ পর্যন্ত এক বন্ধুকে বগলদাবা করে স্কুলের দিকে চললুম। আজ আমার একদিন কি স্কুলের একদিন! মাসের পর মাস চলে যায়, বৃত্তির টাকা দেয় না! এ কি ঘোরতর অন্যায়! রামরাজ্যে রাবণের শাসনে বুঝি আর দেরি নেই! স্কুলে ঢুকেই বেশ লম্বা করে একখানা চিৎকার দিলাম। মাস্টাররা বোধহয় সবে জলযোগে বসেছিলেন। হেডস্যার মুখে চায়ের কাপ তুলেছিলেন মাত্র, আমার বিকট চিৎকার শুনে ভিমড়ি খেয়ে জিভ পুড়িয়ে ফেললেন। আমার চিৎকার যতক্ষণে শেষ হলো ততক্ষণে আমাকে ঘিরে মোটামুটি বেশ ভিড় জমে গেছে। আমি কেঁদে কেটে আশেপাশের জনতাকে আমার আর্তি জানালাম। ভিড়ের মধ্যে কেউ কেউ জিভ দিয়ে চুকচুক করে আমাদের সমবেদনা জানালো। ঠিক সেই মুহূর্তে ভিড় ঠেলে দুটো হাত এসে আমাদের দুজনের কান সাড়াশির মতোন চেপে ধরল। ঘাড় না ঘুরিয়েই বুঝলাম, এ সাক্ষাৎ রফিক স্যার না হয়ে যায় না। পুরো স্কুলে এমন সাড়াশিমার্কা হাত ওই একজন স্যারেরই আছে। কানমলা দিয়েই তিনি ক্ষান্ত হন না। আমাকে একবার গার্লসস্কুলের মেয়েদেরকে ‘‘মরজিনা খালা’’ বলে ডাকার অপরাধে মাঠের মাঝখানে লাল গরুটার পাশে হাফপ্যান্ট পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। পৌষ মাসের সেই হাড়ভাঙা শীতে আমি টানা দুঘন্টা একপায়ে দাঁড়িয়ে গরুর জাবরকাটা দেখেছি।
কান ধরে আমাদের দুজনকে হেডস্যারের রুমে নিয়ে আসা হল। স্যার তখনও জিভ বের করে ফু দিচ্ছিলেন, আমাদের দেখেও তার ভাবান্তর হল না, তিনি জিভ বের করেই রইলেন। ঝ্যাটা মার্কা গোফের নিচে তার বের করা জিভ দেখে আমার কিঞ্চিৎ সন্দেহ হল যে তিনি আমাদের জিভ ভাঙ্গাচ্ছেন।লাল হয়ে যাওয়া কানে হাত বুলাচ্ছি ঠিক সে সময় একখানা গালের উপর মোক্ষম একটা রামচড় হানা দিলো। রফিক স্যারের রামচড় খেয়ে আমরা এবার আর ঠিক কলেজ ছাত্র থাকতে পারলাম না, হাউমাউ করে কেঁদে ফেললাম। স্যার মোটামুটি দাঁত খিচিয়ে আমাদের দিকে লেকচার আরাম্ভ করলেন,” লিডার হয়েছ না! লিডার! খুব বড় হয়ে গেছ?” আমি কান্না থামিয়ে আন্দাজ করলাম আমি এখনো স্যারের চেয়ে ইঞ্চিদুয়েক ছোট আছি। স্যার ফের এগিয়ে আসছেন দেখে আমি আবার কান্না জুড়ে দিলাম। রামচড় হল ভোমরার কামড়ের মতো। একবার খেয়েছ তো ভালো, দুবার খেলে আর রক্ষে নেই। আমাদের দুজনের মরাকান্না দেখে স্যারদের বোধকরি মায়া হল। হেডস্যার আহত স্বরে বললেন,” এ বয়সেও কেন যে তোরা এমন ছেলেমানুষী করিস!” কথাটা বলেই তিনি ফের জিভ বের করে ফ্যানের সামনে ধরলেন। আমাদের নাকের রাডার ততক্ষণে চালু হয়ে গেছে। হ্যাঁ! যা ধরেছিলুম তাই, স্কুলে টিফিন দেয়া হচ্ছে! আমার আর সহ্য হল না, পাশে বন্ধুর খোঁচা অগ্রাহ্য করে আমি হাত কচলাতে কচলাতে বলেই ফেললুম, “স্যার এতোদিন পরে এলুম, একটু আপ্যায়ন…হেহে…” সমীর স্যার আমাদের দিকে ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন। হাতের প্রকান্ড সাইজের সিঙ্গাড়াখানা পেটে চালান করতে করতে বললেন,” অ্যা! স্কুলের জামাই হয়েছিস নাকি তোরা যে তোদের আপ্যায়ন করতে হবে! চুপচাপ বসে থাক!” স্যারের অন্তরাত্মা কাঁপানো ধমক আমরা মুখ গোমড়া করে রইলাম। কিন্তু যখন দেখলাম বেশ বড় সাইজের ছখানা সিঙ্গাড়া আমাদের পেটে চালান হবার জন্য আকুপাকু করে এগিয়ে আসছে, আমাদের দুজনের মুখই ২৪০ ওয়াটের বাতির মতো জ্বলে উঠলো। আমরা দুজন সিঙ্গাড়ার উপর একপ্রকার ঝাপিয়েই পড়লাম। সিঙ্গাড়ার পাশে ছোট সাইজের একটা পেঁয়াজ। মানলাম পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তাই বলে এতো ছোট দিতে হবে! এ পেঁয়াজ তো আমার পাশের বাড়ির ছ’মাসের বাচ্চা পর্যন্ত অনায়াসে একগালে খেয়ে বলবে,” মাতৃদুগ্ধ ব্রতের যবনিকা টানলাম “ তবু,স্নেহের দানে আমি আর না করতে পারলাম না। চেটেপুটে খেয়ে যখন স্কুলের গেটের সামনে দাড়ালাম তখন আকাশ মেঘে ছেয়ে গেছে। আষাঢ়ের ডাকে সাড়া দিয়ে দু-এক ফোঁটা বৃষ্টি ধরিণীতলে আশ্রয় খুঁজতে ব্যস্ত। আমাদের পিছনে পিছনে রফিক স্যার আসছিলেন। স্কুল থেকে বের হওয়ার আগেই আমারমাথায় হাত দিয়ে সস্নেহে জিজ্ঞাসা করলেন,” খুব লেগেছে নাকি রে?” আমি প্রবল বেগে মাথা নাড়িয়ে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলাম যে আমার একদমই লাগেনি, আমি বেশ বড় হয়ে গেছি যে। আমার মাথা নাড়া দেখে স্যার মাথা হেলিয়ে সপ্রতিভভাবে হাসলেন। স্যারের হাসি দেখে আজ হটাত করে বুঝতে পারলাম, আমরা কেউই আসলে বড় হইনি, স্রেফ হওয়ার ভান করে থাকি। এ স্কুলের প্রতিটা কোণায় অক্লেশে সাক্ষ্য দেবে, আমরা সত্যিই আজো বড় হতে পারিনি। স্যার বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে মৃদু মৃদু হাসছেন, আমার কান্না পাচ্ছে। বাধভাঙ্গা উপচে পড়া কান্না। মুখ লুকিয়ে আমি ধীরে ধীরে বৃষ্টির জলে দাঁড়িয়ে গেলুম, কান্নার জল সবাইকে দেখানো যায়না। স্কুল কম্পাউন্ডটা বেশ লম্বা, সেই কম্পাউন্ড দিয়ে আমি ধীরলয়ে হাঁটছি। প্রবল বারিধারায় স্কুলটাকে আবছা আবছা দেখা যাচ্ছে। আষাঢ়ের প্রবল বর্ষণ ছাপিয়ে পেছনে রফিক স্যারের ভরাট গলার আবৃত্তি শোনা যাচ্ছে...
“When we to parted
In silence and tears
Half broken-hearted
To sever for years,
Pale grew the cheek and cold
Colder thy kiss
Truly that hour folded
Sorrow to this.
In silence and tears
Half broken-hearted
To sever for years,
Pale grew the cheek and cold
Colder thy kiss
Truly that hour folded
Sorrow to this.
বৃষ্টির জলের রিমঝিম শব্দে কবিতাখানা মনে মনে অনুবাদ করে নিলাম…
“যখন মোরা দোঁহে বিদায় নিয়েছিনু
নিরব নীর-নত চোখে’
আধেক ভাঙা বুকে সুখের অনুভূতি লয়ে
সাঁঝের ম্লান দিবালোকে।
কপোল হল তব পাংশু হিমবৎ
অধর হল হিমতর,
তখনি জানিলাম সুখের বিভাবরী
পোহাবে ব্যাথা জরজর।
নিরব নীর-নত চোখে’
আধেক ভাঙা বুকে সুখের অনুভূতি লয়ে
সাঁঝের ম্লান দিবালোকে।
কপোল হল তব পাংশু হিমবৎ
অধর হল হিমতর,
তখনি জানিলাম সুখের বিভাবরী
পোহাবে ব্যাথা জরজর।
Comments
Post a Comment