গল্পঃ আতঙ্কের অতীত

লেখকঃ আসিফ মাহমুদ জীবন


প্রথম_পর্ব

“এই হপ্তায় কাস্টমার একদমই আহে নাই। জরিনা খুন হইবার পর থ্যাইকা পুলিশের ভয়ে কাস্টমার আর ভিড়তেছে না।“ পান চাবাতে চাবাতে মফিজকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলে তারামন।
“ বুঝবার পারছি,তুই মাগি টেহা না দিবার ধান্দায় আছোস। মফিজ কোনদিন বাকি সদাই করে না হেইডা জানোস না?”
“ চ্যাতস ক্যা? তোর টেহা কোনদিন মাইরা খাইছি? তোর টেহায় থুক দি, থুঃ” মফিজের দিকে থুতু ছুড়ে মারে তারামন,দ্রুত পা চালায় ঘরের দিকে। জরিনা খুন হয়েছে এক সপ্তাহ হল। তারামন লাশ দেখতে চেয়েছিল, পুলিশ দেখতে দেয়নি, জরিনার ঘরেই ঢুকতে দেয়নি। জরিনার লাশ দেখেছে একমাত্র জয়তুন খালা, লাশ দেখার পর থেকেই জয়তুন অসুস্থ। মাঝে মাঝে জ্ঞান ফেরে, তখন শুন্য চোখে তাকিয়ে থাকে, ঠিক তার পরমুহূর্তে ‘ওরে জরিনা রে’ বলে চেঁচিয়ে উঠে জ্ঞান হারান।জরিনা খুন হবার আগের দিনও জরিনার সাথে কথা হয়েছে তারামনের। মফিজ সেদিন বলছিল,” জানোস নাহি, জরিনার লাশ পুরো ঘাও কইরা ফালাইছে। ঘাও চিনস? পুরো ফালিফালি অবস্তা, বুঝছস?”। মফিজের কথাগুলো মনে হতেই শিউরে উঠল তারামন। ঠিক সেই মুহূর্তে এক আলখেল্লাধারী এসে দাঁড়ালো তারামনের সামনে।
“ প্রতি ঘণ্টা সিটিং কত?’ আলখেল্লাধারীর খসখসে গলা শুনে কিছুটা চমকে উঠলেও খুশিই হল তারামন। গত ছয় দিন কোন কাস্টমার পায়নি সে।
“ একদাম ছয়শ’। এক টেহাও কম নিমু না।“
“ ঠিক আছে, কোন ঘর?” আলখেল্লাধারীর কথা শুনে এবার চমকে ওঠে তারামন, এত সহজে রাজি হয়ে গেল! একবার চোখ বুলিয়ে নেয় সে, এই ভাদ্র মাসের গরমেও মাফলার পরে আছে লোকটা,মুখ বোঝা যাচ্ছে না। মফিজের কথাগুলো ভেবে আরেকবার শিউরে ওঠে সে, কিন্তু তার উপায় নেই। হাত একদম খালি, আজ চাল পর্যন্ত কিনতে পারেনি মফিজের দোকান থেকে।
“ এইদিকে” নিজের ঘরের দিকে নিয়ে যায় তারামন। কিছুক্ষন পর একটা চাপা আর্তনাদ শোনা যায় পতিতাপল্লির একটা অংশে । আশেপাশের কেউই গুরুত্ব দেয়না, এমন জায়গায় এরকম চিৎকার অস্বাভাবিক কিছু নয়। কেউ ধারণা করতে পারেনি সেই চিৎকারের পিছনে অন্য কারণ ছিল, ছিল এক পতিতার বেঁচে থাকার মিনতি।
মফিজ দুকেজি চালডাল নিয়ে তারামনের ঘরের দিকে অগ্রসর হয়, তারামনের সাথে আজকের ঝগড়াটা করা তার উচিত হয়নি, একসময় তার বিপদের দিনে এই তারামনই তার পাশে ছিল, এটুকুই বা কজন করে। তারামনের ঘরের সামনে গিয়ে জোর গলায় তারামনকে ডাক দেয় মফিজ। তারামনের উত্তর আসেনা। অনেকটা বিরক্ত হয়েই তারামনের দরজায় ঠেলা দেয় মফিজ, ভিতরের দৃশটা তার কল্পনার বাইরে ছিল।ঘরের মাঝখানে একটা বিছানা, সেই বিছানায় পড়ে রয়েছে তারামনের ছিন্নভিন্ন লাশ।

“ স্যার, আবার একটা খুন হয়েছে।“ সাব-ইন্সপেক্টর রুবেলের কথা শুনে চা খেতে গিয়ে বিষম খায় ইন্সপেক্টর জামিল। বিষম সামলাতে সামলাতে রুবেলের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায় সে।
“ স্যার, ওই পল্লিতেই খুন হয়েছে। একটু আগে একজন ফোন করে জানাল।“
“ কাবিল কোথায়? ও ফোন করেনি?”
“ না স্যার, কাবিলের ফোন বন্ধ পাচ্ছি।“
“ কুইক, টিম রেডি করে গাড়ি স্টার্ট দাও।“রুবেলকে নির্দেশ দিয়েই সাইমুমকে ফোন দিলেন জামিল, আগুনে ঘি যখন পড়েছে, আগুন না নেভালে কারো রক্ষে নেই।

রাত্রির সাথে আজ বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল সাইমুমের,ফোনের স্ক্রিনে জামিলের নাম্বার দেখেই বুঝল আজকের সব প্লান মাটি। গত বছর হোমোসাইড ডিপার্টমেন্টে জয়েন করার পর থেকেই সাইমুমের জীবনের সব রুটিন উলটে গেছে। তার উপর কদিন আগে দু দুটো কেসের যবনিকা টানায় এখন যেকোনো জটিল টাইপের কেস আসলেই পুলিশের সাথে তাকে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়।জামাল তার বাল্যবন্ধু, যদিও পুলিশের সাথে অন্য ডিপার্টমেন্টের লোকের খুব একটা বনিবনা হয়না। বিরক্ত মুখে কল রিসিভ করল সাইমুম।
“ এক্ষুনি রেডি হয়ে নে। তোর বাড়ি থেকে তোকে পিক করছি।“ জামালের কণ্ঠে এমন অস্থিরতা শুনে বেশ অবাক হল সাইমুম, জামালকে আগে কখনো এত অস্থির হতে দেখেনি সে।
“ধারণা করেছিলাম এমনটা হতে পারে।“ দুই হাত পিছনে রেখে ঘরের ভিতর দাঁড়িয়ে নির্বিকারচিত্তে সাইমুমকে দেখে বিরক্ত হল জামাল, সাইমুম ছেলেটা সারাজীবনই তার কাছে অস্পষ্ট থেকে যাবে। বোতল থেকে পানি নিয়ে মুখ ধুতে লাগল জামাল,লাশটা দেখামাত্র তার বমি চলে এসেছে।
“ কাবিল কই?” মোটামুটি ধরনের একটা হুংকার দিলেন জামাল।প্রথম খুনের পর কাবিল হাবিলদারকে তিনি সাদাপোশাকে এলাকাটার উপর নজর রাখতে বলেছিলেন। আজ খুন হয়েছে, সেই খবর তিনি কাবিলের কাছ থেকে পাননি।ঘর্মাক্ত কাবিলকে প্যান্টের চেইন লাগাতে লাগাতে দৌড়ে আসতে দেখা গেল। এরকম এলাকায় প্যান্টের চেইন লাগানোর মানে বুঝতে কারো অসুবিধা হবার কথা নয়।জামালের ইচ্ছা হল কাবিলের কান বরাবর একখানা রামচড় বসাতে, জামাল নিজেকে সংযত করলেন। মাছির মতো সাংবাদিক জড় হতে শুরু করেছে, এদের সামনে সিন ক্রিয়েট করা ঠিক কাজ হবেনা।
“ বিশ্রীভাবে খুন করেছে, লোকটা পিশাচশ্রেণীর, এটা মানতে হবে।“ মুখ কিছুটা বিকৃত করে বলল সাইমুম।
“ ভাই, তোর পায়ে পড়ি, এখানে ফিলসফি কপচাস নে। ওসি স্যার ফোন করেছিলেন, তিনি প্রেস কনফারেন্স করবেন। আমি ঘরে ঢুকতে পারছি না, ঢুকলেই বমি হবে।“
সাইমুম নির্বিকার সাজার চেষ্টা করলেও তার মনে ঝড় বইছে। এই পুরো সপ্তাহ সে কেসটা নিয়ে স্টাডি করছে। এর আগের খুনটাও ছিল এইটার মতই নৃশংস। ডেডবডির দিকে তাকিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে সাইমুম। চোখা কিছু দিয়ে চোখদুটো গেলে দেয়া হয়েছে, কন্থনালি ফাঁক হয়ে আছে। কণ্ঠনালির নিচ থেকে তলপেট পর্যন্ত গভীর একটা কাটা যার ফলে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আছে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অংশ হল ধারালো ছুরি দিয়ে পুরো যৌনাঙ্গ চিরে ফেলা হয়েছে। চোখ বন্ধ করল সাইমুম,তার মাথা ঘুরছে, এমন দৃশ্যে যে কারোর মাথাই ঘোরার কথা।
“ আগের খুনটার অ্যানাটমি রিপোর্ট আমি কিন্তু এখনও পাইনি।“ চোখ বন্ধ করেই বলল সাইমুম।
“ দুদিন আগে ছাত্রদলের কে একজন খুন হয়েছিলো না? সেই রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে এই রিপোর্ট নাকি ফরন্সিক ডিপার্টমেন্ট খেয়ালই করেনি।তবে এবার হয়ত পাবি, একই ভাবে দুটো খুন তো, আজকেই রিপোর্ট পেতে পারিস।না পেলে চামচিকারা তো আছেই।“ চামচিকা শব্দটা বলে সাংবাদিকদের দিকে ইশারা করল জামাল। সাইমুম এতক্ষণে খেয়াল করেনি, পুরো এলাকাটাই সাংবাদিকে ভরতি হয়ে গেছে, এমন তাজা খবর কেই বা ছাড়তে চায়!
প্রাথমিক তদন্তে কিছুই পাওয়া গেল না, মফিজকে জিজ্ঞাসা করা হল। মফিজ খুব একটা মুখ খুলল না, সাইমুমের ক্ষীণ সন্দেহ হল মফিজের ব্লাক মার্কেটে ফন্দি আছে, সেই কারণে পুলিশের সামনে চুপচাপ থাকার চেষ্টা করছে। জয়তুন বিবিকে দেখে আসলো সাইমুম, মহিলা সেইদিনের মতই অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। লাশ মর্গে নিয়ে যাবার ব্যাবস্থা করা হয়েছে, কাবিলের শাস্তির ব্যাবস্থাও করা হয়েছে। কাবিল বেচারাকে পুলিশের গাড়ির পিছন পিছন তেরো কিলোমিটার দৌড়ে পুলিশ স্টেশনে আসতে হবে, বেচারা তার বেসাইজ মার্কা ভুঁড়ি নিয়ে বেশ কষ্টেসৃষ্টে দউরাচ্ছে।

সাইমুম ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টের করিডরে বসে আছে, আরও আধাঘণ্টা আগে রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল, এখনও কেউ আসছে না। খুনের ঘটনাটা ইতোমধ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে গেছে মিডিয়ার কল্যাণে, সংবাদপত্রে লোমহর্ষক সব শিরোনাম দেখা যাচ্ছে।ডঃ ইয়াসমিনকে আসতে দেখা গেল।
“ সরি মিঃ সাইমুম, আপনাকে এতক্ষণ বসিয়ে রাখলাম।“ কৈফিয়ত দেবার ভঙ্গীতে বললেন ডঃ ইয়াসমিন।
“ জি না, কোন সমস্যা নেই। রিপোর্টটা?”
ডঃ ইয়াসমিন দুটো ফাইল সাইমুমের দিকে এগিয়ে দিলেন। “ আপনার সেই পুলিশ বন্ধুটি কই?”
সাইমুম উত্তর দিলো না, অ্যানাটমি রিপোর্টের একটা জায়গায় তার চোখ বেঁধে গেছে, এটা রীতিমতো অসম্ভব। ডঃ ইয়াসমিন সাইমুমের হতভম্ব ভাব দেখে নিজেই কথা বলতে শুরু করলেন।
“ আমিও প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি সাইমুম সাহেব, ভিকটিমদের কাউকেই হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়নি, কোন সিমনের চিহ্ন নেই।এ ধরনের কেসে মুলত খুনি প্রথমে ধর্ষণ করে, তারপর খুন করে। কিন্তু এখানে তা হয়নি, পাশবিকভাবে খুন করা হয়েছে দুই মহিলাকেই। শুধু তাই নয়, খুনি তার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে যেন ভিকটিম মরার আগে কষ্টের শেষ সীমায় পৌছায়।“
“ মানে?!” অবাক হয়ে বলল সাইমুম, ডঃ ইয়াসমিনের শেষ কথাগুলো সে বুঝতে পারেনি।
“ মানে হল, প্রথমে খুনি চোখা কিছু দিয়ে চোখের গহ্বরে চালিয়ে দিয়েছে। তারপর কলারবোনের নিচ থেকে অ্যাবডমিনাল পর্যন্ত চিরেছে, তার ভিতরে ক্রমাগত ছুরিকাঘাত করেছে। কিন্তু তারপর যা করেছে তা ভয়াবহ।“ মুখ বিকৃত করে বললেন ডঃ ইয়াসমিন।
“ কি করেছে!”
“ আসুন আমার সাথে” সাইমুমকে লাবের ভিতরে নিয়ে গেলেন ডঃ ইয়াসমিন, পাশাপাশি দুটো লাশ সাদা চাদরে ঢাকা, ডঃ ইয়াসমিন সেদিকে গেলেন না। অন্যদিকে একটা ট্রে থেকে প্লাস্টিকের প্যাকেট তুলে ধরলেন।
“ এই দেখুন! সূচালো লম্বা আলপিন। খুনি ভিকটিমের রেক্টাম আর ভ্যাজাইনার ভিতরে এইসব আলপিনগুলো ঢুকিয়েছে, এর উদ্দেশ্য একটাই হতে পারে, ভিকটিমকে কষ্ট দেয়া। একদম শেষে কণ্ঠনালিতে উন্মাদের মতো ছুরি চালিয়েছে। মোট তেইশ বার ছুরি চালিয়েছে সম্ভবত।“
সাইমুমের মাথা ঘুরছে, জায়গাটা রীতিমতো অসহ্য মনে হচ্ছে তার কাছে।
“ আরেকটা বিষয়। প্রথম ভিকটিমের দেহে লিভার পাওয়া যায়নি, আর দ্বিতীয় ভিকটিমের ডেডবডি থেকে দুটো কিডনিই মিসিং।“
“ মানে কি?!” প্রায় চেঁচিয়ে উঠল সাইমুম, এ ধরনের মারাত্মক কেসে জড়িয়ে পড়তে পারে, এটা তার ধারনার বাইরে ছিল।
“ মানে একটাই, খুনি খুন করার পর এগুলো ডেডবডি থেকে সরিয়েছে।“
“ সরিয়ে খুনির লাভটা কি?!”
“ সাইমুম চৌধুরী, এ বিষয়টা আপনার মাথায় ঢুকছে না? যে এমন পাশবিকভাবে খুন করতে পারে যে নিঃসন্দেহে একটা সাইকো। আর একটা সাইকোর পক্ষে যেকোনো উদ্ভট কাজ করা সম্ভব।“
সাইমুমকে চিন্তিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল, বিষয়টা সে কিছুটা আঁচ করতে পেরেছে। হয়ত খুনি খুনের স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ এগুলো সরিয়েছে, কতটা উন্মাদ হলে এমন কাজ করা সম্ভব!
“ কিন্তু আরেকটা বিষয় আমার কাছে আশ্চর্য লাগছে।“ ডঃ ইয়াসমিন চিন্তিত ভঙ্গীতে বললেন।
“ কি ডঃ?”
“ কণ্ঠনালি থেকে নিচ পর্যন্ত কাটাটা, এমনভাবে কাটতে অভিজ্ঞতা লাগে, খুনি এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ।“
“ বলেন কি!” নিজের নোটবুকে কথাটা টুকতে টুকতে বলল সাইমুম” আপনি কি শিউর?”
“ অবশ্যই। আমি এ ব্যাপারে আরেকটু ভেবে আপনাকে জানাব।“
ডঃ ইয়াসমিনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাইরে বের হয়ে আসলো সাইমুম, জামাল চা খাচ্ছে, ইচ্ছে করেই সে ভিতরে ঢোকেনি।
সাইমুম স্টাডি রুমে বসে আছে। রকচেয়ারে বসে সে কিছু একটা মনে করার চেষ্টা করছে, তার মনে পড়তে গিয়েও পড়ছে না। তার কেন জানি মনে হচ্ছে এমন খুনের খবর সে আগেও শুনেছে, অন্য কোথাও। কিন্তু কোথায়? হটাত কিছু একটা মনে পড়তেই কম্পিউটারের সামনে বসে পড়ল সাইমুম, তার ধারণাই ঠিক। এই দুটো খুন খুনির প্রথম খুন নয়, খুনির পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। খুনি সার্জারিতে পারদর্শী। তার মানে কি হতে পারে? খুনি একজন ডোম? ডোম শ্রেণীর লোকজনই তো পতিতাপল্লির দিকে বেশি আসা-যাওয়া করে। খুনির ডোম হবার সম্ভাবনাই বেশি। সেলফোনে জামালকে ফোন করতে যাবে ঠিক তখনই ডঃ ইয়াসমিনের নাম সেলফোনের পর্দায় ভেসে উঠল। ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ডঃ ইয়াসমিনের কাঁপা গলায় উত্তেজিত স্বর শোনা গেল।
“ সাইমুম চৌধুরী? আপনি এক্ষুনি ল্যাবে আসুন। এটা আপনাকে দেখতেই হবে।“
( চলবে)             
                                     
                          

Comments

Popular posts from this blog