বিষয়ঃ আত্মসমালোচনা

প্রশ্নঃ ‘আসিফ মাহমুদ জীবন’ নামক ছেলেটি কৃপণ নয়, প্রমাণ কর। [যশোর বোর্ড ২০২০]

ভুমিকাঃ

কিছু কিছু মানুষের চেহারা দেখে বোঝাই যায় তারা কেমন দিলখোলা। কিন্তু আসিফ মাহমুদ জীবনের ছেড়া স্যান্ডেল দেখেই বোঝা যায় সে কি পরিমাণ দিলখোলা। সবাই যখন ক্যাফেতে গিয়ে নিজের টাকার উষ্ণতা আর পার্সোনাল হোমমিনিস্টার প্রদর্শন করে তখন ‘জীবন’ নামক ছোকরা রাস্তার পাশের ৫ টাকার ঠাণ্ডা শরবত খায়। তার মানে এই না যে কৃপণ, সে আসলে একটু ইয়ে।

প্রধান প্রমাণঃ

সম্প্রতি জীবনের উদ্যোগে ‘ জীবন কৃপণ’ শীর্ষক গুজব পরিহারের ব্যাবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানটি সকাল ১০ ঘটিকায় কে সি কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জীবন সবাইকে ডিম না ভেঙে মুরগির বংশবিস্তারে সাহায্য করার প্রস্তাব দিলে তাকে কিছুক্ষণ উত্তমমধ্যম প্রদান করে উপস্থিত ছাত্র সমাজ। ছাত্র সমাজের ব্যাপক ব্যাপক গণধোলাই খেয়ে জীবন ট্রিটে ৫ টাকার ঝালমুড়ির বদলে ১৫০০ টাকার ফ্রাইড চিকেন খাওয়াতে রাজি হয়। কিন্তু অবশেষে মাত্র ৩ জনকে ট্রিট দেয়া সম্ভব হয় কারণ বাকি ২০ জন সেখানে আসেন নি।
আল কুরআনে বলা হয়েছে, অবিশ্বাসীদের পরিণাম ভয়াবহ। যেসব ভ্রাতাগণ জীবন নামক ভদ্র( বুঝতে পারছি একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে) ছেলেকে অবিশ্বাস করেছেন, তাদের পেটে আজ ট্রিটের কিছুই পড়েনি। একজন গোপন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, জীবন অভিশাপ দিয়েছে,যারা ট্রিট খেতে আসেনি তারা ট্রিটের শোকেই আগামি চারদিন ফুড পয়জনিং এ ভুগবে। আসলে সবার বিশ্বাস করা উচিত ছিল, কথায় আছে, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।’ আর ভ্রাতাগণ, আপনাদের এত তারাহুড়া করে জীবনের মতো নিরীহ, লেজ বিশিষ্ট ছেলেকে এভাবে রামধোলাই দেয়া মোটেই শোভন হয়নি, কারণ উপর আল্লাহ বলেছেন,“ হে মানবসন্তান! তোমাদের বড়ই তাড়াহুড়া।”
সুতারাং, জীবন কৃপণ নয়, সে একটু ইয়ে...(প্রমাণিত)
           

Comments

Popular posts from this blog